ফেসবুকে আসলে হয়ছিলটা কি? 🤔
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ফেসবুক সার্ভারের তথ্য বা অন্য কোন কারণে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। বরং ঘটনাটি ঘটেছে ফেসবুক সার্ভারগুলোর ট্র্যাক হারিয়ে যাওয়ার কারণে। এ সার্ভারগুলো ইন্টারনেট থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। যার কারণে এই সময়টাই সবাই ফেসবুকের ডিএনএস সার্ভারে অনেক খোজ করেও তার দেখা মিলেনি।
আসল কাহিনিটা কি?
ইন্টারনেটের শর্টকাট ডেফিনেশন হলো - রাউটারের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো ছোট ছোট নেটওয়ার্কের সমষ্টি। আর আমাদের ডিভাইসে থাকা অ্যাপস বা ব্রাইজারের কাজ হলো ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সার্ভিসের মাধ্যমে কোন একটি সাইটের আইপি এড্রেসকে বের করে আনা। আর এগুলোই মুলত সার্ভার থেকে ডেটা নিয়ে আসে।
কিন্তু ঐ পর্যন্ত ডেটা প্রেরনের রিকোয়েস্ট কেমনে পচিবল?
সেটা সম্ভব হয় বর্ডার গেইটওয়ে প্রোটোকল বা বিজিপি এর মাধ্যমে। রাউটারগুলো সাধারণত ডেটার ধরণ (কোন সার্ভারে কিভাবে কোন পথে যাওয়া যায়) নিয়ন্ত্রন করে। এরা শুধু ডেটা ইন্টারেকশনের কাজটা করে থাকে। বিষয়টা অনেকটা এরকস যে, ধরেন আপনি চিটাগাংয়ে নতুন আসছেন। ধামপারা কাউন্টারে নেমে কাউকে আস্ক করলেন চকবাজার কেমনে যাবো ভাই, তখন সে বলল আপনাকে প্রথমে বাসে করে লালখান বাজার যেতে দেন ওখানে গিয়ে কাউরে আস্ক করতে। আপনি এমনটাই করে চকবাজার পর্যন্ত পৌছালেন। ইন্টারনেটেও ঠিক একই কাহিণি ঘটে, আপনি ফেসবুকের সার্ভারে এক্সেস নিতে চাইলে রাউটার টু রাউটার ঘুরে ঘুরে কোন একসময় আপনার রিকুয়েস্ট যায় ফেসবুক সার্ভারে।
কিন্তু রিসেন্ট ঘটে যাওয়া ঘটনাটা কেনইবা ঘটল?
মুলত ফেসবুকের ডোমেইন সার্ভিসটা গায়েব হই গেছিল। তাই আপনি ফেসবুক ডট কম দিয়ে সার্চ করেও এক্সেস নিতে পারতেছিলেন না। আপনি সঠিক ডোমেইন দিয়ে খোজার পরও আইএসপি রাউটার আপনাকে চিনতে পারেনি। এটাই মুল কারণ।
কেন যে এমনটা হলো সেই বিষয়টা আসলে এখনো ঘোলাটে। নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন বা স্যাবোটাজের কারণ হইতে পারে। ফরেন্সিক ইনভেস্টিগেশন এর পর হয়তো শিউর হবে। যা সময় সাপেক্ষ। ইউএসএ নেটব্লক্সের হিসেব মতে ৬ ঘন্টায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় 232 মিলিয়ন ডলার। আর সারা বিশ্বে হয়তো বিলিয়ন ছাড়বে।
0 comments:
Post a Comment